Home বিশেষ প্রতিবেদন সারওয়ার বিন কাশিমের সহযোগী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে !

সারওয়ার বিন কাশিমের সহযোগী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে !

0
170

বিশেষ প্রতিবেদক:
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলার আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তার একজন হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশিম। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে রাখা হয়েছে তাকে সহ অন্যদের। তবে র‍্যাব ১-এ দায়িত্ব পালনকালে সারওয়ার বিন কাশিমের অন্যতম শক্তি বা ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছিলেন সে সময় র‍্যাব ১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (৩৪ তম বিসিএস) মো. কামরুজ্জামান। এখনো তার বহাল থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে কামরুজ্জামান সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

র‍্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ওই সময় রাজধানীজুড়ে নানা অনিয়ম, গুম, অপহরণ এবং অর্থ আদায়ের অন্যতম হোতা ছিলেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে-১৯৮৭ সালে ৪ এপ্রিল নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মশরইল গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মো. কামরুজ্জামান। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড়। তার বাবা সিদ্দিকুর রহমান একজন কৃষক। মা সামসুন নাহার একজন গৃহিণী। ২০০৩ সালে মধইল দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০০৫ সালে চৌরাট শিবপুর বরেন্দ্র ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন কামরুজ্জামান।
২০০৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজশাহী কলেজে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। ২০১২ সালে অনার্সে দ্বিতীয় বিভাগ পেয়ে এবং ২০১৪ সালে একই বিষয়ে দ্বিতীয় বিভাগ পেয়ে মাস্টার্স পাশ করেন।


২০১৪ সালে ১৪ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন কামরুজ্জামান। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ, দর্শনা শুষ্ক স্টেশন ও ফরিদপুর কাস্টম হাউজ, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগে চাকরি করেন। ২০১৬ সালে ১ জুন ৩৪তম বিসিএস এর মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদাতে এক বছর বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ শেষে বাস্তব প্রশিক্ষণের জন্য গাইবান্ধা জেলায় যোগদান করেন। এরপর ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরা র‍্যাব-১ এ যোগদান করেন।


প্রায় তিন বছর তিনি র‍্যাব ১ এ দায়িত্ব পালনের সময় অনিয়ম, গুম, অপহরণ এবং অর্থ আদায়ের মাধ্যমে সারওয়ার বিন কাশিমের বিশ্বস্ত সহযোগী হয়ে যান।